চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম বন্ধ

ভোক্তাকণ্ঠ ডেস্ক: ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী পুড়ে গোটা সার্ভার নিষ্ক্রিয় হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সব কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে।

সার্ভার সচল না থাকায় গত তিন দিন ধরে বন্ধ আছে সব ধরনের পাসপোর্ট সেবা প্রদান কার্যক্রম।
বার বার চেষ্টার পরও সচল হয়নি এভিআর মেশিন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছের হাজার হাজার মানুষ। কবে নাগাদ সচল হবে কার্যক্রম, তা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা।

চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল সড়কের পাসপোর্ট অফিসের আওতাধীন একটি ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়। এতে বিদ্যুতের ভোল্টেজ ওঠা-নামা করায় পুড়ে যায় পাসপোর্ট অফিসের অটোমেটিক ভোল্টেজ রেগুলেটর (এভিআর)। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় অফিসের পুরো সার্ভার। সার্ভার বন্ধ হওয়ার তিন দিনেও তা আর সচল করা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে সেখান থেকে প্রকৌশলীরা আসেন চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক কার্যালয়ে। বেশ কয়েকবার চেষ্টার পরও সচল করা যায়নি এভিআর। বার বার ভোল্টেজ ওঠানামার কারণে বিকল হয়ে পড়ে যন্ত্রটি।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিন যে অফিসে তিন শতাধিক মানুষ সেবা নিতে আসতেন, সেই অফিস প্রাঙ্গণ এখন অনেকটাই ফাঁকা। অফিসে নেই কোনো ব্যস্ততা। দূর দূরান্ত থেকে আসছেন সেবা প্রত্যাশীরা, অথচ ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে। এতে মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা তিতুদহ এলাকা থেকে আসা রেজাউল করিম নামে এক সেবাপ্রত্যাশী বলেন, অফিস টাইমে পাসপোর্ট অফিসের সব কক্ষে তালা ঝুলছে। পাসপোর্ট নবায়ন করতে এসে কাগজপত্র জমা না দিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।

আরেক সেবাপ্রত্যাশী জিয়াদুল ইসলাম বলেন, পাসপোর্ট সংশোধন করতে গিয়ে দেখি অফিসে লোকজন নেই। নিচের সবকটি সেবাকক্ষ বন্ধ। পরে শুনলাম সার্ভার বন্ধ আছে জন্য কাজ হচ্ছে না। আবার কবে আসতে হবে সেটিও ঠিক করে কেউ বলতে পারছেন না।

দর্শনা থেকে আসা মতিউর রহমান জানান, দূর থেকে এসেও পাসপোর্ট ডেলিভারি না পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে। কিন্তু আগে থেকে বিষয়টি জানা থাকলে আর কষ্ট করে আসতে হতো না।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার জানান, গত বুধবার থেকে পাসপোর্ট অফিসের সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসের প্রকৌশলীরা এসে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বার বার চেষ্টা করেও তা এখনও সচল হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে এ সমস্যা হচ্ছে। তবে যেকোনো সময় এভিআর মেশিন চালু হতে পারে, তখন আর মানুষের দুর্ভোগ ভোগান্তি থাকবে না।